দেশের সব বিভাগেই হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আগামী দুদিন পর্যন্ত এ প্রবণতা থাকতে পারে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা আবহাওয়া অফিস।
এতে বলা হয়, বর্তমানে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিস্তৃত রয়েছে। আর মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে, যার বর্ধিতাংশ বিস্তৃত রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।
তাতে আরো বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়বে। অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। এ সময় ঢাকায় উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৬-১২ কি.মি.
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) নাগাদ আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে।
শুক্রবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিনের মতো শুক্রবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। সর্বোচ্চ ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে হাতিয়া ও খেপুপাড়ায়।
শনিবার ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ৪৪ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত যাবে সন্ধ্যা ৫টা ৩৩ মিনিটে।
রোজ
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।